শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
আবু সাহাদাৎ বাঁধন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মম ভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ হারায় তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে, বাঙালি জাতি হারায় তাঁদের প্রিয় নেতাকে। জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক ফোরাম আয়োজন করেছে এক ভার্চুয়াল আলোচনা। আলোচনার বিষয়ঃ চেতনায় জাতীয় শোকদিবস: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ। উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.ছাদেকুল আরেফিন মাতিন স্যার স্যার,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা স্যার,আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস হোসেন স্যার এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন ২৭ তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) সাবেক ফোরামিস্ট জুয়েল কিবরিয়া।তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত করার জন্য এই অনুষ্ঠানটি ছিল খুবই উপকারী।মাতিন স্যার বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুই হবে তরুণ প্রজন্মের আইডল। বঙ্গবন্ধুর সততা, সাহসিকতা, দূরদর্শিতা, বিজ্ঞাননমস্কতা, আধুনিকতার দর্শন যদি তরুণ প্রজন্ম গ্রহণ করে তাহলেই জাতি হিসাবে আমরা আরো অনেক বেশি সমৃদ্ধ হতে পারবো।
ইলিয়াস স্যার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধিকার ও স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির রূপরেখাও তৈরি করেছিলেন যা তাকে সেই সময়ের অন্য অনেক নেতাকে পেছনে ফেলে আপামর জনগণের বিশ্বাসী নেতায় পরিণত করেছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ স্যার বলেন, সাহসিকতা ও সততার মাধ্যমেই খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন ইতিহাসের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান।বঙ্গবন্ধু ছিলেন ছোট বেলা থেকে অনেক সাহসী,বিচক্ষণ। তাঁর নেতৃত্ব ও বিচক্ষণতা সম্পর্কে তিনি বলেন,রবীন্দ্রনাথ ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন অনেক তাত্ত্বিক গুনাবলির অধিকারী বঙ্গবন্ধু ও ছিলেন তবে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিতে ও সংগঠন তৈরি করতে পারতেন যা তাদের মধ্যে ছিল না। তার বিচক্ষণতা সম্পর্কে ১৯৭১, ৭ মার্চের ভাষণের কথা বলেন। এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর সুযোগ্য তনয়া শেখ হাসিনা। এবং তিনি আরো বলেন আমরা সবাই ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়ছি, এখান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে বেশি বেশি বই পড়তে হবে নতুন প্রজন্মকে মুজিবের চেতনা ধারন করতে হবে অনুষ্ঠানটি যারা লাইভে দেখছে,তাদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা বলি,সবাই একই কথা বলে যে অনুষ্ঠানটি আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করছে,এর মাধ্যমে অনেক অজানা বিষয়ও জানতে পারছি।